প্রকাশিত: Sat, May 11, 2024 10:56 AM
আপডেট: Fri, Jul 11, 2025 11:36 AM

[১]ডিজেল সেচ পাম্প সোলারে রূপান্তরিত করলে ৪০ শতাংশ ভর্তুকি দেবে সরকার: নসরুল হামিদ

সালেহ্ বিপ্লব: [২] দেশের ১২ লাখ ডিজেলচালিত সেচ পাম্পগুলোকে সোলারে রূপান্তর করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আমরা ইতোমধ্যে আড়াই শতাধিক সোলার লাগাতে শুরু করেছি। সেগুলো আমরা মডেল হিসেবে দেখছি। এই মডেল যদি সফল হয়, তাহলে আমরা পরিধি বাড়াব।

[২.১] আমরা এখন তিন হাজার ৭০০ মেগাওয়াট সোলার প্ল্যান্টের অনুমোদন দিয়ে দিয়েছি। আমি আশাবাদী, অন্তত এক হাজার ৫০০ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার যদি আসে সিস্টেমে, আমাদের জন্য ভালো হবে। আমরা আরও প্রায় ১২ হাজার মেগাওয়াট সোলার নিয়ে কাজ করছি।

[২.২] সোলার পাম্পের যে খরচ, আমরা হিসাব করে দেখেছি, প্রায় ৪০ শতাংশ টাকা সরকার থেকে না দিলে তা কমার্শিয়ালি ফিজিবল করা সম্ভব হবে না।

[২.৩] তবে সোলার করতে গিয়ে কৃষকের কিছু জমি নষ্ট হবে। পাম্প মেরামত করতেও খরচ অনেক বেশি হয়ে যাবে। 

[৩] শুক্রবার সকালে রাজধানীর বারিধারার বাসভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। 

[৪] তিনি বলেন, প্রায় দুই হাজার ডিজেলচালিত পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ হয়ে গেছে। এর বিপরীতে নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র এলে আরও উৎপাদন দক্ষতা তৈরি হবে।

[৪.১] আমরা আশাবাদী, ২০২৬-২৭ এর মধ্যে আমাদের আরও দুটি ভাসমান টার্মিনাল আসছে। সেই সময় আমাদের যে প্রকল্পগুলো হাতে আছে সেগুলো শেষ হবে।

[৪.২] আমরা আশা করছি, আগামী মাসের মধ্যে নেপালের ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নিয়ে আসতে পারব। আমরা পারচেজ কমিটিতে পাঠিয়ে দিয়েছি। আমাদের ৪০ মেগাওয়াটের প্রস্তুতি নেওয়া আছে, এটা পাস হয়ে গেলেই নিয়ে আসতে পারব। 

[৪.৩] আমরা ২০০ মেগাওয়াট বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প শুরু করেছি। ইতোমধ্যে ৬০ মেগাওয়াট আমাদের সিস্টেমে চলে এসেছে।

[৫] তেলের দাম সমন্বয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ধরে নেই, ক্রুড অয়েলের দাম যদি আন্তর্জাতিক বাজারে ৮০ ডলার হয়, আমাদের এখানে কেন ১০০ ডলার? প্রশ্ন থাকে, যেটা আমাদের বিশেষজ্ঞরা বা রাজনীতিবিদরা করেন। আমাদের দেশে কি ৭০ ডলার হবে? ৮০ ডলার ওখানে (আন্তর্জাতিক বাজারে), সেটা আনতে খরচ আছে, সেই খরচটা হিসাব করে নাই। এখানে আমরা রিফাইন করব, সেটাও হিসাব করে না। আমি ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিকে দিয়ে ডিস্ট্রিবিউট করব পদ্মা-মেঘনা-যমুনার মাধ্যমে, সেটাও হিসাব করে না। ট্রাকে করে তেল যে পেট্রল পাম্পে পৌঁছব, পেট্রল পাম্প মালিকদের কমিশন দেবো, সেটাও কেউ হিসাব করে না।

[৫.১] এই চলমান প্রক্রিয়ায় যে অপচয়টা হয়, সেটার একটা হিসাব আছে। সেই হিসাব করে না। এর পরে দাম নির্ধারণ হয়। আমরা ফিনিশ অয়েলও আমদানি করি। সাধারণ মানুষের জন্য এসব তথ্য ওয়েবসাইটে দিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

[৬] প্রতিমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, সরকার অনেক দিন ধরে বলে আসছে ইলেকট্রিক ভেহিকল ও ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশনের কথা। কিন্তু সেটা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। বিআরটিএ বলেছে, দেশে লোডশেডিংয়ের যে পরিস্থিতি, সেখানে ইলেকট্রিক ভেহিকল কী করে চলবে? এ ক্ষেত্রে আপনাদের সমন্বয় আছে কি না? 

[৬.১] জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারা আসলে বোঝে নাই যে, এটার সঙ্গে লোডশেডিংয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। ব্যাটারি চার্জড ভেহিকলের সঙ্গে লোডশেডিংয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। একটি ইলেকট্রিক ট্রেন যখন চলে, সেটা সারাক্ষণ বিদ্যুৎ নেয় না। লোডশেডিং যাওয়ায় কি মেট্রোরেল) বন্ধ হয়ে গেছে? আমি তো ধরে ধরে সবাইকে জ্ঞান-বুদ্ধি দিতে পারব না যে, ব্যাটারি কীভাবে চার্জ হয়।